এগিয়ে চলেছে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার কর্মপ্রক্রিয়া। রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী শুক্রবার (১৫ ফেব্র“য়ারি) ফজরে আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে চার দিনের তাবলিগ জামাতের মহাসম্মিলন, বিশ্ব ইজতেমা। ১৯ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এক পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। প্রায় ১০ হাজার মুসল্লির স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠের প্রস্তুতি কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ইজতেমার মুরব্বিরা আশা করছেন, আগামী বুধবার (১৪ ফেব্র“য়ারি) শেষ হবে মাঠের সব ধরনের প্রস্তুতি। এখন ময়দানের বিশাল এলাকাজুড়ে খুঁটি বসানো ও প্যান্ডেল, শামিয়ানা, বিদ্যুতের তার টাঙানোসহ নানা কাজ চলছে। কাল থেকে মাইক স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এবারের ইজতেমায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা। এজন্য সাদা ও পোশাকে নিয়োজিত থাকবেন প্রায় ১২ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। আখেরি মোনাজাতের দিন আকাশে টহল দেবে হেলিকপ্টার। আখেরি মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লির সুবিধার্থে বাস ও রেলের স্পেশাল সার্ভিস থাকবে। আগত মুসল্লিদের জন্য আরও থাকছে মেডিকেল ক্যাম্প। ইজতেমা মাঠের (একাংশের) দায়িত্বপ্রাপ্ত কামরুল ইসলাম সেলিম জানান, ‘পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে এসেছেন। ইজতেমা মাঠে কাজ করতে পেরে তিনি খুশি। তাবলিগের উসিলায় জীবনের পরিবর্তন পেয়েছি।’ গাজীপুর থেকে আসা মাওলানা মো. জুনায়েত বলেন, ১৪০ জনের একটি জামাত মাঠে কাজ করার জন্য গাজীপুরে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে এসেছেন। বিগত ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতির কাজ করে আসছেন। কেরানীগঞ্জ থেকে আসা মো. খায়রুল আলম বলেন, ১০০ জনের একটি জামাতের সঙ্গে এসেছেন মাঠ প্রস্তুতির কাজ করার জন্য। এবার মাঠ প্রস্তুতির কাজ শুরু করতে একটু দেরি হলেও আমরা সময় মতো শেষ করতে পারব।
বিশ্ব ইজতেমার বয়ান মঞ্চ তৈরি এবং সাফাই জামাতের জিম্মাদার ফকির আতাউর রহমান বলেন, ‘১০ জন সূরা সদস্যের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন জামাতে বিভক্ত হয়ে মাঠ প্রস্তুতের কাজ চলছে। মাস ভিত্তিতে ইজতেমার সব কাজ হয়ে থাকে। আজ আরও ১০ হাজার তাবলিগ জামাতের সাথী স্বেচ্ছাশ্রমে মাঠ প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত হবেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য এবারও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। আগামী বুধবারের মধ্যে মাঠ প্রস্তুতের কাজ শেষ হবে। আখেরি মোনাজাত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী এবারের বিশ্ব ইজতেমা। ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সা’দপন্থি ওয়াসিফুল ইসলামের অনুসারীরা।