শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
নদী নিয়ে যত ভাবনা

দূষণরোধে ১০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান

-----------------------------স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য ১০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যানের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তা দিয়ে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও কর্ণফুলী নদীর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। তাজুল ইসলাম বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও কর্ণফুলী নদীর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ১০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া তৈরি করেছে সরকার। এই পরিকল্পনা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের এবং চট্টগ্রামের কর্নফুলী নদীর পাশে অবস্থিত শিল্প-কারখানা ও মানবসৃষ্ট অন্যান্য বর্জ্যরে কারণে সৃষ্ট দূষণ ও অবৈধ দখল রোধ করে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু নদী এবং টঙ্গী খালের দূষণের উৎস শিল্পবর্জ্য রি-সাইকেল করতে হবে। বর্জ্য সরাসরি যাতে পানিতে মিশতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানিসম্পদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নদী বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করতে আগামী ১৪ মার্চ আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর