শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভোটে নেই ৭ বর্তমান চেয়ারম্যান

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

ভোটে নেই ৭ বর্তমান চেয়ারম্যান

রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে ভোট গ্রহণ ১০ মার্চ। তবে এবার সাতটি উপজেলায় ভোটের মাঠে নেই বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। মনোনয়নবঞ্চিত আর দলের সিদ্ধান্তের কারণে তারা প্রার্থী হননি। সীমানা জটিলতার কারণে পবা উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

গোদাগাড়ী উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা কেউই এবার নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এই উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ইসহাক আলী বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত হন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি থাকা অবস্থায় গত বছর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে এবার গোদাগাড়ীতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) কামরুজ্জামান জামায়াত সমর্থিত ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) রওশন আরা ডলি বিএনপির সমর্থক। তারাও ভোটে অংশ নেননি।

তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপির এমরান আলী মোল্লা। গত বছর তিনি মারা যান। আর ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াতের আবদুর রহিম ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান বন্দনা রানী। এই উপজেলা থেকে জামায়াতের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তবে নারী ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেত্রী বন্দনা রানী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

মোহনপুর উপজেলায় এবার তিনজনই ছিটকে পড়েছেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপির আবদুস সামাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির বানেছা বেগম ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াতের আবুল কালাম আজাদ। তিনজনের মধ্যে নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিলেও কাগজপত্র ত্রুটিতে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে এবার এই উপজেলা থেকে বর্তমান তিনজনের কেউ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা রেজাউল করিম নির্বাচনে অংশ নেননি। শুধু নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা বাবুল নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এবারে মনোনয়নবঞ্চিত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম সান্টু। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাকিরুল ইসলাম সান্টু এবার নির্বাচনে অংশ নেননি। আর জামায়াতের ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশ নেননি।

পুঠিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান বিএনপির আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) জামায়াতের আহমদ উল্লাহ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির মতিয়া হক। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মতিয়া হক নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ভোটের মাঠে আছেন। চারঘাট উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপির আবু সাঈদ চাঁদ, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা নাজমুল হক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের তহমিনা বেগম। বিএনপি জামায়াতের দুই নেতা রাজনৈতিক কারণে নির্বাচনে অংশ না নিলেও নারী ভাইস চেয়ারম্যান তহমিনা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নেননি। বাঘা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াতের জিন্নাত আলী, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) জাসদের শফিউর রহমান শফি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির ফারহানা দিল আফরোজ রুমি। এই তিনজনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান জিন্নাত ও ভাইস চেয়ারম্যান জাসদের শফিউল আলম শফি নির্বাচনে অংশ নেননি। তবে বিএনপির নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা দিল আফরোজ রুমি এবারও স্বতন্ত্র হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন।

তবে ব্যতিক্রম দুর্গাপুর উপজেলা। এখানে বর্তমানরা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সবাই এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) বিনয় কুমার সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থিত। নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ভোটের মাঠে আছেন।

সর্বশেষ খবর