রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নলকূপগুলোও রোগী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের পানির জন্য বসানো নলকূপের অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে আছে। ১৭টি নলকূপের মধ্যে এখন নষ্ট ৯টি। দীর্ঘদিন থেকে এসব নলকূপ বিকল হয়ে থাকলেও সেগুলো ঠিক করার কোনো উদ্যোগ নেই।

হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডগুলোর সামনে ১৭টি নলকূপ আছে। এরমধ্যে বহির্বিভাগে চারটি, বাকিগুলো ওয়ার্ডের সামনে। এসব নলকূপের মধ্যে ৯টি কিছুদিন ধরেই বিকল হয়ে পড়ে আছে। ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে তিনটি নলকূপ আছে। তার মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামনেরটি কিছুদিন ধরে নষ্ট। এটির হাতলে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে রাখা হয়েছে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে দেয়ালের ভিতরে দুটি নলকূপের মধ্যে একটি চালু আছে। আরেকটি শুধু নিচের অংশ পড়ে আছে; যা বস্তা দিয়ে পেঁচানো। ১ নম্বর ওয়ার্ডের পেছনে দুটি নলকূপ থাকলেও সেখানে একটি ব্যবহারের উপযোগী, আরেকটি বিকল। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সামনের একটি নলকূপ থেকে ১৫টি ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনরা পানি নিতে আসেন। একটি নলকূপ হওয়ার কারণে এখানে লম্বা লাইন ধরে পানি সংগ্রহ করেন রোগী ও স্বজনরা। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সামনের নলকূপটিও নষ্ট হয়ে আছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে থাকা তিনটি নলকূপের মধ্যে একটি কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়েছেন। আর বাকি যে দুটি আছে তার মধ্যে একটি বিকল। চালু থাকা নলকূপটিতে সব সময়ই ভিড় থাকে আশপাশের ওয়ার্ডের রোগী ও স্বজনদের। বহির্বিভাগের ওষুধ কাউন্টারের সামনের নষ্ট নলকূপটিতে বস্তা জড়িয়ে রাখা হয়েছে। এটির হাতল নেই। বহির্বিভাগের এক্স-রে বিভাগের সামনে দুটি নলকূপ থাকলেও একটি সচল ও অপরটি বিকল হয়ে আছে। তারপরেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের পানির জন্য যে কটি নলকূপ আছে তাকে ‘পর্যাপ্ত’ বলে দাবি করেছেন সহকারী পরিচালক ডা. এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘একেকজন রোগীর সঙ্গে ৩-৪ জন স্বজন থাকার কারণে কিছুটা সংকট হচ্ছে। যেসব নলকূপ নষ্ট আছে তা মেরামতের জন্য গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। সেগুলো দ্রুতই মেরামত হয়ে যাবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর