সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

সুদ ও কর কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

শেখ ফাহিমকে এফবিসিসিআই সভাপতি পদে সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক ঋণের সুদ ও কর হার কমানোর দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। তাদের অভিযোগ, সৎভাবে ব্যবসা করলে মূল্যায়ন হয় না। ঋণখেলাপিদের কারণে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে একমত পোষণ করে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘যারা অবৈধ পন্থায় ব্যাংকে লুটপাট করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সুদ অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বচ্ছতা ফিরে আসুক। ব্যবসা হবে হয়রানি ও শঙ্কামুক্ত।’

গতকাল রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত সংগঠনটির অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের সভাপতিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। সভায় এফবিসিসিআইর আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে শেখ ফজলে ফাহিমকে সমর্থন দেন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর অধিকাংশ বক্তা। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ‘ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতার কারণে যারা খেলাপি হচ্ছেন, তাদের বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে। তবে যারা অবৈধ পন্থায় ব্যাংকের অর্থ লুটপাট করছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ তিনি ভ্যাট ব্যবস্থা বহুস্তরে রাখার ওপর গুরুত্ব দেন। এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে দেশের বেসরকারি খাত কাজ করে যাচ্ছে।

 বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নানা বিষয়ে নীতিগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক পলিসি প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজাইন’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিগগিরই ‘এফবিসিসিআই বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রকৌশল ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ‘এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠারও প্রক্রিয়া চলছে। সভায় বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা ব্যবসার সুষ্ঠু ও কার্যকর বিকাশে কর হার না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

তারা ভ্যাট কাঠামো বহুস্তরে রাখা এবং আমদানি বিকল্প খাতগুলোতে সরকারের বিশেষ সহযোগিতার প্রয়োজন তুলে ধরেছেন। ব্যবসায়ী নেতারা হয়রানিমুক্ত ও ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব আদায় ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া দেশের ব্যাংকগুলোর সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির সমাধান চেয়েছেন তারা। মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সিমেন্ট খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেওয়া হচ্ছে। এভাবে ভ্যাট নেওয়া হলে সরকার আগামীতে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব পাবে। এখন আমরা ৩৫ মিলিয়ন সিমেন্ট উৎপাদন করছি। আগামীতে তা বেড়ে হবে ৫০ মিলিয়ন। এ খাতের কাঁচামালে শুল্ককর হার কমানো হলে উৎপাদন খরচ কমবে বলে মনে করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর