অবৈধভাবে আড়াই একর জমি বিক্রির অভিযোগে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আদমদীঘি) বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, বগুড়ার আদমদীঘির দারিয়াপুর মৌজায় বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি একসময় সরকারি ‘পাট ক্রয়কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার হতো। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোনো দরপত্র ছাড়াই পরিত্যক্ত ওই সরকারি জমি দরপত্র (টেন্ডার) ছাড়াই বিক্রির উদ্যোগ নেন তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। মন্ত্রী তার পূর্ব পরিচিত বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ার হারুন অর রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদের কাছে ২৩ লাখ টাকায় ওই জমি বিক্রি করেন। অথচ বাজারমূল্যে ওই জমির দাম প্রায় ৬৪ লাখ টাকা।
এই অভিযোগে আদমদীঘি থানায় করা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় দুদকের কাছে। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম আরও জানান, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এ জমি অবৈধপন্থায় বিক্রিতে সরকারের ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত শেষে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও জমির ক্রেতা জাহানারা রশিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
