শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম ঝাঁজ আদা পিয়াজ রসুনে

বাজার দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম ঝাঁজ আদা পিয়াজ রসুনে

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও কমেনি দেশি মুরগির দাম। পিয়াজ, রসুন ও আদায় রয়েছে আগের সপ্তাহের মতোই ঝাঁজ। এগুলো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর সবজি, মাছ, ডাল, ডিম, চিনি, আটা, গুঁড়াদুধসহ সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ছাড়া মাছ, মাংস এবং চালের দামও অপরিবর্তিত আছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ টাকা কমে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর বেশিরভাগ সবজির দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা। গতকাল ছুটির দিনে রাজধানীর ঠাঁটারিবাজার, বাসাবো, ভাষানটেক ও কচুক্ষেতসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দেখা গেছে, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২শ টাকায়। কক (ছোট) প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায়। মাঝারি আকারের প্রতি পিস ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। আর বড় আকারের প্রতি পিস কক ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা। তবে দাম কমেনি দেশি মুরগির। গত সপ্তাহের মতো ৪৫০ থেকে ৫শ টাকায় দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, গত এক মাস ধরে মুরগির দাম বেশি ছিল, কিন্তু তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। আর ক্রেতা কম থাকায় মুরগির চাহিদাও কম। বাজারে ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। গরুর মাংস আগের মতোই প্রতি কেজির দাম ৪৮০ টাকা থেকে ৫শ টাকা, আর খাসির মাংস ৬৫০ টাকা থেকে ৮শ টাকা। মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫ টাকা এবং হাসের ডিম ১৫৫ টাকা, আর দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৭০ টাকা।  আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। ছোট আকারের এক হালি ইলিশের দাম ৮শ থেকে এক হাজার টাকা। আর মাঝারি আকারের ১৫শ থেকে আড়াই হাজার টাকা।

 

 প্রতি কেজি রুই আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪শ টাকায়। এ ছাড়া কাতল ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শোল ৬শ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫শ টাকা, টেংরা ৫শ থেকে ৬৫০ টাকা, শিং ৪শ থেকে ৬শ টাকা, মাগুর ৭শ থেকে ৮শ টাকা, বোয়াল ৫শ থেকে ৮শ টাকা, চিতল ৫শ থেকে ৮শ টাকা, আইড় ৭শ থেকে ৮শ টাকা, বাইলা ৭শ টাকা, বাইম ৬শ টাকা, পোয়া ৫শ টাকা, মলা ৪শ টাকা এবং খল্লা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। যদিও মোটা চালের দাম কেজিতে ১ টাকা কমেছে। নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, ¯¦র্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা। আর পোলাও-এর চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। এ ছাড়া খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮ টাকায়, আর প্রতি প্যাকেট ৩২ টাকা। চিনি আমদানিকৃত ৫০, আর দেশি ৫৫ টাকা। মসুর ডাল ৮৫ টাকা, মুগ ১১০ টাকা, মটর ৬০ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা, ডাবলি ৪২ টাকা, লবণ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।  বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে লাউ প্রতি পিস মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ১৫ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা,  মুলা প্রতি কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা, পাকা টমেটো ১৫ থেকে ৩০ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগাম সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা ১২০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৮০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সব ধরনের শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকায়। সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে প্রচুর সবজি আছে। এতে কোনটির দাম বাড়েওনি আবার কমেওনি। তবে শীতের সবজি আর মাত্র ১০ দিন পাওয়া যাবে। তখন হয়তো সবজির দাম আবার বাড়বে। 

বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে পিয়াজ, আদা ও রসুন আগের সপ্তাহের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ ২৫ টাকা আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজ ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন ১শ টাকা এবং আদা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্র্যান্ডভেদে ৫ লিটারের তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকায়। আর সরিষার তেল প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। প্যাকেট দুধ প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৫৫০ টাকা।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর