স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কারাগারে থাকা আসামিদের অর্ধেকই মাদক ব্যবসায়ী। তবে আমাদের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছে। দেশে কোনো অবৈধ কিছু আমরা করতে দেব না। গতকাল নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অডিটরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত ‘মাদক, সন্ত্রাস ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের মতো আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণেও সফল হব। এখানে একবিন্দুও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেসব এলাকা দিয়ে আমাদের দেশে মাদক ঢুকছে, সেসব এলাকায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। তারপরও মাদক ঢুকছে। এসব নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্ডার এলাকায় সেন্সর লাগানো হচ্ছে, যাতে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকতে না পারে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এককভাবে কাজ করলে হবে না। জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, পথচারীদের চলাচল নির্বিঘœ করতে ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চলতে থাকবে। অবৈধ দখলকারীকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামালসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ডিএসসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।