মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
সংসদে গণপূর্তমন্ত্রী

ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ২৫৫টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংসদে জানিয়েছেন- বর্তমানে ঢাকায় ৬ হাজার ৪০৯টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। এগুলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং চাহিদাপত্রের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের বৈঠকে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, পরিত্যক্ত বাড়িগুলো থেকে কিছু সংখ্যক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বরাদ্দ প্রাপক ও চাহিদাপত্রের অনুকূলে বিক্রি করা হয়েছে। কিছু বাড়ি মালিকদের অনুকূলে অবমুক্ত করা হয়।

ঢাকায় ২৫৫ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন : আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ৩২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে। যদিও এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ ও ভাঙার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালে ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পুনরায় জরিপ করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে মালিক ২৫টি ভবন ভেঙে ফেলেছে। এ ছাড়া ২৮টি ভবন মালিক ভেঙে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। বর্তমানে ২৫৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিদ্যমান আছে যার মধ্যে ৩৫টি অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ২২০টি বাহ্যিক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে ওই ভবনগুলো চূড়ান্তভাবে ঝুঁকিপূর্ণ নিশ্চিত হলে ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

পূর্বাচলে বরাদ্দ ২৪ হাজার ৬৯৬ প্লট : আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ২০০৩-২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩, ৫, সাড়ে ৭ ও ১০ কাঠা আয়তনের ২৪ হাজার ৬৯৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সম মর্যাদাসম্পন্ন বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চাকরিজীবী, সশস্ত্রবাহিনী, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, বেসরকারি চাকরিজীবী, শিল্পী সাহিত্যিক ও ক্রীড়াবিদ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী, অন্যান্য, মূল অধিবাসী, ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১৩/এ ধারা (সংরক্ষিত) ক্যাটাগরিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে কম/বেশি ১৫ হাজার জনকে চূড়ান্তভাবে প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর