বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১২২ জন

এমপিদের আচরণবিধি নিয়ে স্পিকারকে ইসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১২২ জন

উপজেলা পরিষদের চার ধাপে অন্তত ১২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর প্রথম ধাপে ৩১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। চার ধাপে সব মিলিয়ে ৪৫৯ উপজেলায় ৫হাজার ৮২০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চলতি মাসের ১০, ১৮,২৪ ও ৩১ মার্চ এসব উপজেলায় ভোট হবে। এদিকে চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় তিনটি পদে ১হাজার ৪৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস  চেয়ারম্যান পদে আরও ৪৮ জন একক প্রার্থী রয়েছেন। ওসামবার মনোনয়নপত্র জমা শেষে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। ৩১ মার্চ এসব উপজেলায় ভোট হবে।

তফসিল অনুযায়ী, চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের  শেষ তারিখ ছিল ৪ মার্চ। ৬ মার্চ বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ মার্চ। রিটার্নিং অফিসারদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, চতুর্থ ধাপের ১২২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪১৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০১ ও মহিলা ভাইস  চেয়ারম্যান পদে ৪২৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে একক প্রার্থী রয়েছেন  ২১ জন  চেয়ারম্যান পদে, ১১ জন ভাইস            চেয়ারম্যান এবং ১৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অন্তত ১২২ জন : চার ধাপে অন্তত ১২২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের পথে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর প্রথম ধাপে ৩১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মনোনয়নপত্র জমার সময়ে দ্বিতীয় ধাপে ২৫, তৃতীয় ধাপে ১৮ ও চতুর্থ ধাপে ৪৮ জন একক প্রার্থী রয়েছেন। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এবার প্রার্থী ৫ হাজার ৮২০ জন : দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে চার ধাপের ভোট হচ্ছে মার্চে। ইতিমধ্যে ৪৫৯ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিগুলোয় ভোট হবে জুনে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষিত ৪৫৯ উপজেলায় ৫ হাজার ৮২০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রথম ধাপে ৮৬ উপজেলায় ১হাজার ৮৮ জন প্রার্থী হন। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৮৬ জন, ভাইস  চেয়ারম্যান পদে ৪৮৭ জন এবং মহিলা ভাইস  চেয়ারম্যান পদে ৩১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে  ১২৪ উপজেলায় প্রার্থী ১ হাজার ৬২৬ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৮৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৭৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৬৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃতীয় ধাপের ১২৭ উপজেলায় তিনটি পদে ১ হাজার ৬৬৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৭৬ জন, ভাইস  চেয়ারম্যান পদে ৭২৬ জন ও মহিলা ভাইস  চেয়ারম্যান পদে ৪৬১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় তিনটি পদে ১ হাজার ৪৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২০০৯ সালে ২২ জানুয়ারি এক দিনেই দেশের সব উপজেলায় ভোট হয়। তাতে ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ ধাপে ভোট হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই ধাপে; শেষে ব্যবধান বাড়িয়ে বেশিরভাগ উপজেলায় জয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে উপজেলায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তোলার পর এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের জৌলুস নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

এদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। গতকাল স্পিকার সিইসির এ চিঠি হাতে পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা নির্বাচনে এমপিরা যাতে আচরণবিধি মেনে চলেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে আচরণবিধিসহ স্পিকারকে একটি চিঠি দিয়েছেন সিইসি। এ ছাড়া ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজশাহী-১ আসনের ওমর ফারুক চোধুরী, নাটোর-৪ আসনের আবদুল কুদ্দুস ও নেত্রকোনা-৫ আসনের ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। কিন্তু এতে খুব একটা লাভ হয়নি।

সর্বশেষ খবর