বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

তবু জলাবদ্ধতার শঙ্কায় চট্টগ্রাম!

চলছে একাধিক প্রকল্প

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

তবু জলাবদ্ধতার শঙ্কায় চট্টগ্রাম!

চট্টগ্রাম নগরের ‘অভিশাপ’ খ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মেগা প্রকল্প চলছে। এটি আলোর মুখ দেখার পথে, আর এটি অনুমোদন পেয়েছে সাত দিন আগে। জলাবদ্ধতা নিরসনে তিন সংস্থার পৃথক তিনটি প্রকল্পও চলছে। তবু শঙ্কা কাটছে না চট্টগ্রামবাসীর। তাদের ধারণা, অতীতের ধারাবাহিকতায় আগামী বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়তে হবে। প্রকল্প শেষে জলাবদ্ধতা নিরসনের আশার বাণী থাকলেও নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কার না হওয়ায় আগামী বর্ষা মৌসুমের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় আছে নগরবাসী। জানা যায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) নগরের জলাবদ্ধতা  নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকায় ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃ খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ১ হাজার ২৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকায় ‘বহদ্দারহাট বারৈপাড়া থেকে কর্ণফুলী পর্যন্ত নতুন খাল খনন’ প্রকল্প এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১ হাজার ৬২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ‘চট্টগ্রাম মহানগরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নগরে বর্তমানে ১৬৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৫৭টি খাল আছে। এর অধিকাংশেরই অবস্থা শোচনীয়। দখল, ভরাট, দূষণের কবলে পড়ে বিলীন হওয়ার পথে। অনেক খাল দিয়ে প্রবাহিত হয় না পানি। ফলে বর্ষায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরের জলাবদ্ধতা সম্পূর্ণ নিরসন হবে না। তাই আগামী বর্ষা মৌসুমেও নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা পোহাতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।’ চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুদ্দোহা বলেন, ‘নগরে একটি নতুন খাল খনন কাজ শুরু হবে। এটি পূর্ণাঙ্গরূপে খনন হলে বৃহত্তর একটি অংশের পানি ওই খাল হয়ে সরাসরি কর্ণফুলীতে পড়বে। তখন জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে। তা ছাড়া চউকের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এর সুফলও পাবে নগরবাসী।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর