শনিবার, ৯ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

গ্যালারি দ্বীপে আট নারীর প্রদর্শনী ‘কালারস’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

নারীর প্রতিভার জানান দিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আট নারীর শিল্পকর্ম নিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়ার গ্যালারি দ্বীপে শুরু হয়েছে ‘কালারস’ শিরোনামের দলীয় প্রদর্শনী। এতে অংশ নেওয়া শিল্পীরা হলেন ফারহানা আফরোজ বাপ্পী, ফারজানা ইসলাম মিল্কী, মনিদীপা দাশগুপ্ত, মুক্তি ভৌমিক, নিশাত চৌধুরী, রেহানা ইয়াসমিন, রিফাত জাহান কান্তা ও শায়লা আখতার। গতকাল বিকালে যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান শিল্পী মনিরুল ইসলাম, আবুল বারক আলভী ও শিল্পী তাহেরা চৌধুরী। উদ্বোধনকালে শিল্পী মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রদর্শনীর ছবিগুলোতে যত্নের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের অনেক সমস্যা এবং সীমাবদ্ধতা আছে। এর মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে।

শিল্পী ও সমালোচক মুস্তাফা জামানের তত্ত্বাবধানে এ প্রদর্শনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ‘১৮০ ডিগ্রিজ’। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকছে শিল্পানুরাগীদের জন্য। তবে সোমবার থাকছে সাপ্তাহিক বন্ধ। ২১ মার্চ শেষ হবে ২৫টি পেইন্টিং, ৬টি টেরাকোটা ও ৫টি ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো এ প্রদর্শনী। রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন : শুরু হয়েছে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের ৩৮তম সম্মেলন। এতে অংশ নেন সম্মিলন পরিষদের ৬১টি শাখার সদস্যরা।

সম্মেলনের সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন সারা দেশের সাড়ে চারশ প্রতিযোগী।

সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আগুনের পরশমনি’ গানের সুরে প্রদীপ প্রজ্বলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শিশুসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। পরিষদের সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম।

মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি ছেলে ও মেয়েরা সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। যে সমাজে নারী-পুরুষ একসঙ্গে এগিয়ে যায় সেই সমাজের অগ্রগতি কেউ রোধ করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, যে মানুষটি রবীন্দ্র সংগীত উপভোগ করতে পারে না তার মতো দুর্ভাগা আর কেউ নেই। তিনি দুঃখ করে বলেন, নতুন প্রজন্ম পাঠ্যবইয়ে স্থান পাওয়া গল্প-কবিতা ছাড়া রবীন্দ্রনাথের অন্য কোনো লেখা পড়ে না।

সন্জীদা খাতুন বলেন, সংস্কৃতির চর্চা মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। সমাজের অনাচার দূর করতে সংস্কৃতি একটা আশ্রয়। সেই সংস্কৃতির আশ্রয়ে সারা দেশের মানুষকে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করাই এ সম্মেলনের লক্ষ্য।

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবেশিত হয় গীতি আলেখ্য ‘বিশ^ভরা প্রাণ’। এরপর শুরু হয় কিশোর বিভাগের সংগীত প্রতিযোগিতা। বিকালের রবিরশ্মি শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। এ পর্বে সম্মেলক গান পরিবেশন করেন ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলা সংসদের শিল্পীরা। আবৃত্তি করেন হাসান আরিফ ও ডালিয়া আহমেদ। সমবেত নৃত্য পরিবেশনায় ছিল ভাবনা। একক নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ং প্রভা ও মিতা বিশ্বাস। একক সংগীত পরিবেশন করেন ফেরদৌস আরা লিপি, মধুমিতা মৈত্র, শহীদুল ইসলাম টিটু, ছায়া কর্মকার, বুলবুল ইসলাম, লিলি ইসলাম, শাকিল হাসমি, অশোক সাহা, আকলিমা খাতুন, নীলোৎপল সাধ্য, তানিয়া মান্নান, দিবাকর বিশ্বাস, কৃষ্টি হেফাজ, সাধন ঘোষ, অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, অভয়া দত্ত, নাঈমা ইসলাম নাজ, সুদীপ সরকার, স্টিভ তূর্য বাড়ৈ প্রমুখ। তিন কবির গান পরিবেশন করেন ঝুমা খন্দকার, প্রমীলা চক্রবর্তী, শিবেষ কীর্তনীয়া, সুমন মজুমদার ও দেবলিনা সুর। আগামীকাল শেষ হবে তিন দিনের এ সম্মেলন।

সর্বশেষ খবর