রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সেই চক্রের দুই নারীসহ পাঁচজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ওরা পাঁচজন। সঙ্গে থাকে সুন্দরী ললনা। ঘুরে বেড়ান নগরজুড়ে। টার্গেট করেন ধনীর দুলাল কিংবা বিত্তশালী কাউকে। পরে কাক্সিক্ষত ব্যক্তির সঙ্গে চক্রের নারী সদস্য গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। পরে রুম ডেটিংয়ের নামে নেওয়া হয় নিজেদের আস্তানায়। পরে অশ্লীল ছবি তুলে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে ‘নারী ফাঁদ’ দিয়ে প্রতারণা করে আসছে চক্রটি। অবশেষে এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তারা হল দিদারুল ইসলাম ওরফে দিদার, ফাতেমা ইয়াছমিন নিশি, বিথিত মাহমুদ মোস্তাফা সিফা, আনোয়ার হোসেন আনু ও রাকিব আল ইমরান। শুক্রবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ, হালিশহর এবং বায়েজীদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, শুক্রবার ইমরান নামে এক ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে পুলিশ পরিচয়ে তাকে কাজীর দেউরী এলাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর পাঁচলাইশ থানাধীন একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে দুই নারীর সঙ্গে তার আপত্তিকর ছবি তুলে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। অভিযোগের পর পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্ত করতে গিয়ে দুর্ধর্ষ এ প্রতারক চক্রের সন্ধান মেলে। পরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে তারা অভিন্ন কায়দায় প্রতারণা করে আসছে। ইতিমধ্যে শতাধিক ব্যক্তি তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন।’

পুলিশ জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। পরে চক্রের নারী সদস্যরা ব্যবসায়ী ও বিত্তশালীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রুম ডেটিংয়ের নামে বাসা নিয়ে এসে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। ভিকটিম সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সম্মানের কথা চিন্তা করে প্রতারক চক্রকে টাকা দিয়ে দফারফা করেন।

সর্বশেষ খবর