সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শঙ্কা

প্রশাসন বলছে শিগগিরই শুরু হবে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম এক মাস ধরে থমকে আছে। টানা পাঁচদিনের উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনরায় শুরু না হওয়ায় নানা সন্দেহ তৈরি হচ্ছে জনমনে। শঙ্কা জাগছে, উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিনা? তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বলছে, এখন যা উচ্ছেদ হয়েছে সেগুলো সংরক্ষণে কাঁটাতারের বেড়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দ্বিতীয় ধাপের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপের টানা পাঁচদিনের অভিযানে ২৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বেদখলে থাকা প্রায় ১০ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়। আলোর মুখ দেখে পাঁচটি খালের মুখ। বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়-গোসাইলডাঙ্গা-সদরঘাট-মাঝির ঘাট-শাহ আমানত সেতু হয়ে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলেমিটার নদীর তীরকে তিনভাগে ভাগ করে শুরু হয় অভিযান। প্রথম ধাপে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয় নগরের সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপের অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। কর্ণফুলী নদীর উত্তর তীরে ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে প্রশাসন।

তবে স্থানীয়দের দাবি, উচ্ছেদের পর জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখলে, উচ্ছেদ করতে বিলম্ব করলে আবারও বেদখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব উচ্ছেদ এবং সৌন্দর্যবর্ধন কাজ এক সঙ্গে করে ফেলা উচিত। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই যা উচ্ছেদ হবে তা যেন পরিপূর্ণরূপে সংক্ষরণ করা হয়। একদিকে উচ্ছেদ অন্যদিকে আবার বেদখল হয়ে যাবে, এমন যেন না হয়। তাই প্রথম ধাপের উচ্ছেদকৃত জায়গা কাঁটাতারের বেড়া, পিলার, লাল কালি দিয়ে মার্কিংসহ প্রয়োজনীয় সব শেষ হলে দ্বিতীয় ধাপের উচ্ছেদ শুরু করা হবে। উচ্ছেদ এবং সৌন্দর্যবর্ধন দুটি কাজই এক সঙ্গে করার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর