বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিক্ষায় পিছিয়ে প্রার্থীরা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

শিক্ষায় পিছিয়ে প্রার্থীরা

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মধ্যে স্বশিক্ষিত প্রার্থীও আছেন। রয়েছেন নবম শ্রেণি ও এইচএসসি পাস প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন অফিসে দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনায় শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি উঠে এসেছে। উত্তর চট্টগ্রামের সাত উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়ির তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজন এইচএসসি পাস এবং অপরজন স্বশিক্ষিত। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী খলিলুর রহমান চৌধুরী নবম শ্রেণি পাস। নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে দুজন এইচএসসি পাস এবং অপরজন স্বশিক্ষিত। তিন প্রার্থীর মধ্যে হোসাইন মো. আবু তৈয়ব ও মো. নাজিম উদ্দিন মুহুরী এইচএসসি পাস। অন্যদিকে মো. আবছার উদ্দিন স্বশিক্ষিত হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করেছেন। রাউজানের একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী নিজ হলফনামায় উচ্চ মাধ্যমিক পাস উল্লেখ করেছেন। হাটহাজারী উপজেলায় থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে এস এম রাশেদুল আলম মাস্টার্স অব সায়েন্স ও আবুল মনছুর নিজেকে বিএ পাস উল্লেখ করেছেন। মিরসরাইয়ে থাকা একমাত্র প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন বিএ পাস। সন্দ্বীপের একমাত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান বিএ এবং সীতাকুন্ডের একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আল মামুন নিজেকে এমবিএ পাস দেখিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ব্যক্তির কর্মপরিকল্পনাসহ অনেক কিছুই নির্ভর করে। সাধারণত যে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা যত বেশি তিনি স্বাভাবিকভাবে মেধা ও জ্ঞানে তত বেশি দক্ষ হন। একজন জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষেত্রেও শিক্ষাগত যোগ্যতাটি অনেক বড় বিষয়। কারণ শিক্ষিত ব্যক্তি আর কম শিক্ষিত ব্যক্তির মেধা বা চিন্তা-ধারণা কখনই এক হয় না। একজন কম শিক্ষিত জনপ্রতিনিধি তার এলাকার মানুষদের সার্বিক উন্নয়নে যতটা না ভূমিকা রাখতে পারেন, তার চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী জনপ্রতিনিধি। সীতাকুন্ডের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া এস এম আল মামুন বলেন, ‘শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান ও মেধা দিয়ে আমি এলাকার মানুষদের জন্য কাজ করতে চাই।’ মিরসরাই উপজেলায় প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান ও মেধার বিকাশ ঘটানোর অন্যতম অনুষঙ্গ হলো জনপ্রতিনিধি হওয়া।’

কারণ একজন মানুষ শিক্ষাজীবনে যা অর্জন করেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করার সুযোগ পান।

মানুষের জন্য কাজ করার মাধ্যমে নিজেকেও যাচাই-বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

এলাকায় যেসব উন্নয়ন সংস্থা আছে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করব। এ জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।’ তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মার্চ। নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৩ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, যাদের ১০ জন চেয়ারমান প্রার্থী। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নানা অসঙ্গতির কারণে সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর