প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, চলমান পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ১০টি উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএমের ব্যবহার বাড়লে ভোটগ্রহণ-সংশ্লিষ্ট অনেক সমস্যার সমাধান হবে। গতকাল দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রাতে সিল মারা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, রাতে ব্যালট বাক্স ভরার আশঙ্কার কথা আমি কোনো নির্দিষ্ট নির্বাচনকে উদ্দেশ করে বলিনি। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ নানা নাশকতা ঘটেছে। দু-একটি স্থানে রাতে ব্যালট বাক্স ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন মনে করে ইভিএম ব্যবহার হলে এমন অনেক সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, আগামীতে পৌরসভা ও সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনেও ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানো হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গত পর্ব সুষ্ঠু হয়েছে। বড় একটি দল নির্বাচন বয়কট করায় ১০ মার্চের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে কত শতাংশ ভোট পড়ল তা দেখার বিষয় নয় ইসির। যিনি বেশি ভোট পাবেন তাকেই কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করবে। নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, ডিআইজি কামরুল আহসান, পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।