বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সড়কে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন ২৪ হাজার ভাঙাচোরা গাড়ির রাজত্ব

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ফিটনেসবিহীন গাড়ির রাজত্ব চলছে চট্টগ্রামের সড়কে। সঙ্গে আছে চালকদের অসম প্রতিযোগিতা। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। অকালেই ঝড়ছে প্রাণ।  বিআরটিএ চট্টগ্রাম সার্কেল সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে নিবন্ধন নেওয়া মোট যানবাহনের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ (প্রায় অর্ধেক মোটরসাইকেল)। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৫৩৬টি যানবাহন ফিটনেসবিহীন। ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত এসব যানবাহন ফিটনেস ছাড়াই সড়কে চলাচল করছে। এর মধ্যে আছে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, অটোটেম্পো, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস। মোটরযান আইনে মোটরসাইকল ছাড়া সব যানবাহনের প্রতি বছর ফিটনেস সনদ নিতে হয়। অভিযোগ আছে, সড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলার পেছনে বিআরটিএর একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা দায়ী। তারা নানা অনিয়ম করে অনেক সময় যানবাহন না দেখেই সনদ দিয়ে             দেন। একইভাবে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বিরুদ্ধেও আছে অভিযোগ। সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে না তারা। কিছু ক্ষেত্রে মামলা দেওয়া হলেও অধিকাংশ সময় টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিআরটিএ চট্টগ্রাম সার্কেলের সহকারউ পরিচালক উসমান সরওয়ার কামাল বলেন, ‘সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু অভিযান পরিচালনাকালে দখা যায়, চালকরা মাঝপথে ইউটার্ন দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। তখন যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।’ তিনি বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন গাড়ির ব্যাপারে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যদি একটু সতর্ক ও সচেতন হয়, তাহলে ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহনই সড়কে চলাচল করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা হয়তো ভিন্ন।’

সরেজমিন দেখা যায়, ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ির কোনোটি জীর্ণ-শীর্ণ, কোনোটির সামনের কাচ নেই, বাতিও নেই। কোনো গাড়ির সামনে-পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। অনেক গাড়ির রংও নেই, নেই নির্দেশক বাতি। অন্যদিকে, গাড়ির চালকদের অধিকাংশরেই বৈধ লাইসেন্স নেই। চালকের আসনে আছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু। ফলে সড়কে থাকে অন্তহীন বিশৃঙ্খলা।

সর্বশেষ খবর