চট্টগ্রামে কারফিউ শিথিলতার ফলে বাজারে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সরবরাহ বাড়ার কারণে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এতে পাইকারি ও খুচরায় কাঁচা মরিচ, পটোল, বরবটি, বেগুন, শসা, চিচিঙা, ঢ্যাঁড়শসহ অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। সবজির পাশাপাশি দাম কমেছে তেলাপিয়া-পাঙাশসহ বিভিন্ন মাছের।
নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে মিষ্টি কুমড়া। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পটোল, লাউ ও চিচিঙা। আলু, ঢ্যাঁড়শ ও পেঁপে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে লতি, কচুর ফুল, কাঁকরোল ও বেগুন। এ ছাড়াও ঝিঙে ও বরবটি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজিতে। গাজর ও টম্যাটো ১৮০ এবং কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গেল মঙ্গলবারের চেয়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দাম কমেছে কাঁচা মরিচের। গাজর, কাঁকরোল, করলা, বেগুন ও টমেটোর দাম ২০; পটোল, চিচিঙা, ঢ্যাঁড়শ ও পেঁপের দাম ১০ এবং বরবটির দাম ৫০ টাকা কমেছে কেজিতে। তবে বাড়তি থেকে গেছে পিঁয়াজের দাম। আকার ও জাতভেদে প্রতিকেজি পিঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ এবং রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তেলাপিয়া-পাঙাশসহ কয়েকটি মাছের দাম কমলেও ৫০ থেকে ১০০ টাকা দাম বেড়েছে পাবদা, রুই ও কাতলের। কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০, রুই ৩৬০ থেকে ৪০০, পাবদা ৪৫০, রূপচাঁদা ৬৫০ থেকে ৭৫০, পাঙাশ ১৬০ থেকে ২০০, তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০, কৈ ৪০০ এবং পোয়া ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এর বাইরে মৃগেল ২৮০-৩৪০, স্যালমন ফিশ ৪৫০, বাগদা চিংড়ি ৮০০, সুরমা ৩৫০ থেকে ৫৫০, টেংরা ৩৭০ এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, মুরগি ও মাংসের দাম। এর মধ্যে প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকা, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০, সোনালি ২৮০ এবং দেশি ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া নগরে গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৫০ এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রিয়াজউদ্দিনবাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি রশীদ আহমেদ সওদাগর বলেন, এখন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। সরবরাহ আরও বাড়তে পারে, দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আলু এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম, এই সবজিটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে আসে, আমরা কম দামে বিক্রি করলে আমাদের কাছে আর আসবে না। তাই সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা ৪৭ টাকা কেজিতে পাইকারি দিচ্ছি, খুচরায় আরেকটু বেশি দাম।