পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, মেট্রোরেল, বিটিভিতে আগুন দিয়েছে তাদের বিচার করা হবে। আমরা এটি করতে বদ্ধপরিকর। ২০১৩-১৪ সালে বিচার হয়েছিল, অনেকেই ফাঁকফোকর গলে বের হয়ে গেছেন। এবার যাতে কেউ আইন ফাঁকি দিয়ে বের হতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের শপথ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘সাপ্তাহিক গণ বাংলা’ নামের একটি গণমাধ্যম। আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে রাষ্ট্র আক্রান্ত। তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা হয়েছে।
গতকাল তিনি টেলিভিশনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা ও পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা। আমীর খসরু মাহমুদ নির্দেশ দিয়েছেন তাদের তরুণ নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এসব অডিও ক্লিপ সরকারের হাতে আছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল না, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
কোটা সরকার পুনর্বহাল করেনি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান হবে। সেটিই হয়েছে। তাহলে এ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি-জামায়াত, অগ্নিসন্ত্রাসী, দেশবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠীকে কারা সুযোগ করে দিয়েছে সেই প্রশ্ন আজকে দেখা দিয়েছে। যদি একটু ধৈর্য ধরা হতো তাহলে বিএনপি-জামায়াত, জঙ্গিগোষ্ঠী দেশবিরোধী অপশক্তি এই সুযোগ পেত না। এটি সবাইকে বুঝতে হবে। ছাত্রনেতাদেরও বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।