কোটা আন্দোলন নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবন, আবাসিক হলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের বাসভবন ও নতুন প্রশাসনিক ভবনের ফটক, জানালার বিভিন্ন গ্লাস ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিবহন চত্বরে অবস্থিত শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু আর্ট গ্যালারি’ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মওলানা ভাসানী হলে জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের কক্ষসহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল, মীর মশাররফ হোসেন হলসহ বিভিন্ন হলের শতাধিক কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি হল থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের আসবাবপত্র বের করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, গেরুয়া ফটকে ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি আবাসিক কয়েকটি হলের সিসিটিভি, দুটি অ্যাম্বুলেন্স, উপাচার্যের গাড়ি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভাঙচুর করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী দুর্বৃত্ত ও শাখা ছাত্রলীগের হামলাকারীদের দুষছেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারী ও বহিরাগতদের দোষারোপ করছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সম্পদ নষ্ট হয়েছে।