ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্ব্যবহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। গতকাল এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনকালে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নুসরাত জাহান চৌধুরী ও একই বিভাগের প্রভাষক শেহরীন আমিন ভুঁইয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্ব্যবহার এবং বর্বর আচরণ গভীর উদ্বেগজনক।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী যারা জনগণের সেবক হওয়ার কথা তারা এখন ভক্ষক ও নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বিবৃতিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনো দল বা সরকারের অনুগত বাহিনী না হয়ে পেশাদার আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকার, সাম্য ও গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পরই দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করেছে। ফলে দেশের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য হারিয়ে গেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুলিশের বুটের তলায় পিষ্ট। এতে দাবি করা হয়, বুধবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনকালে বুট দিয়ে একজন ছাত্রকে পাড়া দিয়ে গলা চেপে টেনেহিঁচড়ে আটক করে নিয়ে গেছে। এ ধরনের অমানবিক ও নির্মম আচরণ অসভ্য ও বর্বর ব্যক্তি ছাড়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আপনারা জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত হন। কোনো দলের হয়ে অপেশাদার আচরণ করবেন না। কোনো একটি দলের অন্যায়-দুর্নীতির অংশীজন হবেন না। আপনারা জনগণকে সম্মান করুন। তাহলে আপনারাও সম্মান পাবেন। তা না হলে এই অবৈধ ও বিনাভোটের সরকারের সেবক হতে গিয়ে জনগণের যে ক্ষোভ এবং রুদ্ররোষ সেখান থেকে কেউই নিস্তার পাবেন না।