কোটার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র সমাজকে ষড়যন্ত্রকারীদের উসকানিতে পা না দিয়ে জনজীবনে স্বাভাবিকতা এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক ছাত্রনেতারা। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধ, সংঘাত, সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থী, শিশু, সাংবাদিক, পথচারী, শ্রমিক, পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ ২ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। কয়েক শত মানুষ আহত, সরকারি স্থাপনা এবং জনগণের সম্পদ ধ্বংসের অনাকাঙ্ক্ষিত হৃদয়বিদারক ঘটনায় সমগ্র জাতির সঙ্গে তারাও শোকাহত ও স্তম্ভিত। তারা বলেন, ‘দেশবাসীর সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে কোটা সংস্কার শেষে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলন কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ প্রতিটি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে, প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের বিচার, নিহতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়াসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তারা বলেন, দেশবাসী যখন শান্তি চায় তখন নিরপেক্ষতার মুখোশধারী, স্বঘোষিত অভিভাবক, নামধারী গোষ্ঠী, একটি চিহ্নিত মহল তাদের গোষ্ঠীগত সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে শিক্ষার্থীদের দুঃখ, বেদনা, কষ্ট, আবেগকে পুঁজি করে উসকানি দিয়ে নতুনভাবে উত্তেজনা, অস্থিরতা, সংঘাত, সংঘর্ষ, অশান্তি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে। তাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে ও নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিবৃতি দাতা সাবেক ছাত্রনেতারা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, এস এম কামাল হোসেন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি নুর আহমেদ বকুল, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ হিল কাইয়ুম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তপন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. আনোয়ারুল হক, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি সাব্বাহ আলী কলিন্স, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মোশাহিদ আহমেদ, ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি রাজু আহমেদ, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খায়রুল হাসান জুয়েল, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামসুল ইসলাম সুমন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।