বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট ও রাজশাহীতে সভাসমাবেশ করেছে ১৪ দল ও আওয়ামী লীগ।
গতকাল দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাস এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের দাবি মেনে কোটা সংস্কার করেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এর পরও বিএনপি-জামায়াত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের আন্দোলনে রাখছে। আর এ আন্দোলন পুঁজি করে তারা দেশে নাশকতা করছে। তাদের একটাই চাওয়া-সরকার উৎখাত করে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো। সিলেটে ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে সব ধরনের নৈরাজ্য প্রতিহত করবেন।
রাজশাহীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মহানগরী আওয়ামী লীগ। গতকাল সকালে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শেষে দুপুর ২টায় কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খায়রুজ্জামান লিটন। মহানগরী আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগরী যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগরী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগরী যুব মহিলা লীগ সভাপতি ইসমত আরা, মহানগরী ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ।