বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে বিচার শুরু করতে হবে। ইন্টারনেট পরিষেবা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে হবে। একই সঙ্গে মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন বন্ধ করে ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আদায় করে হলেও চালু করতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি চালু না হওয়ায় সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারছে না। এতে তথ্য আদান-প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। আবার দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা স্বজনদের খোঁজ নিতে পারছে না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় না পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। যা দেশের জন্য খুবই ভয়াবহ। অন্যদিকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনেচ্ছু ছাত্ররা যোগাযোগ করতে পারছে না বিদেশের সঙ্গে। ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু না হলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়ে, শত শত মানুষের জীবন নিয়ে রাষ্ট্র আবার শোক পালন করছে। দেশের মানুষ এ ধরনের রাষ্ট্রীয় শোক দেখতে চায় না, দেশের মানুষ চায় প্রতিটি হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সে অনুযায়ী বিচার। আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ভবিষ্যতে যেন এমনভাবে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা না হয় সে জন্য সরকারকে সতর্ক করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা।