সামগ্রিক ঋণ ব্যবস্থাপনায় আদায় কার্যক্রম সুসংহত করতে তফসিলি ব্যাংকের আইন বিভাগ শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সেটি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, সামগ্রিক ঋণ ব্যবস্থাপনায় আদায় কার্যক্রম সুসংহত করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের আইন বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক খাতে বিদ্যমান খেলাপি ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্থ ঋণ আদালতে মামলাধীন। এ ছাড়া অনেক খেলাপি ঋণের বিপরীতে ঋণগ্রহীতা সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ/আপিল বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন।
এসব মামলার বিপরীতে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যাংকের আইন বিভাগ/লিগ্যাল টিমকে অধিকতর শক্তিশালী করা হলে তা অর্থ ঋণ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ/আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ফলে একদিকে যেমন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা কমবে, অন্যদিকে সুষ্ঠু ঋণ ব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের মাধ্যমে শ্রেণিকৃত ঋণের হার হ্রাস পাবে এবং ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য ঘোষিত কর্মকৌশলের পথনকশা বাস্তবায়ন এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ব্যাংকের আইন বিভাগের দায়িত্বশীল ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ নিশ্চিত করতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে একজন চিফ লিগ্যাল অফিসার পদায়ন করতে হবে। অর্থ ঋণ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ/আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এবং এর বিপরীতে অনাদায়ী অর্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে আইন বিভাগ/লিগ্যাল টিমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ জনবল বহাল করতে হবে। অধিকন্তু আইন বিভাগ/লিগ্যাল টিমে বহালকৃত ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ কর্মকর্তাকে আইন বিষয়ে ডিগ্রিধারী এবং ব্যাংকিং বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে মামলাধীন ঋণের সংখ্যা ও পরিমাণের আধিক্য বিবেচনায় ওই অঞ্চল দুটির জন্য একজন সার্বক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বহাল করতে হবে। বিচারাধীন মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন মাসিক ভিত্তিতে চিফ লিগ্যাল অফিসার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দাখিল করতে হবে এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আইন বিভাগ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।