ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করায় কর্মবিরতিতে যান অধস্তন পুলিশ সদস্যরা। এর পর থেকে পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯সহ সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ৯ আগস্ট সীমিত পরিসরে শুরু হতে থাকে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম। গতকাল জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনের (৯৯৯) কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। ৯৯৯-এর পরিদর্শক মো. আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম।
জীবনের নিরাপত্তা ও পুলিশ সংস্কারের দাবিতে পুলিশের কিছু সদস্য কর্মবিরতিতে চলে যান। ৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবা। এখানে পুলিশের সহায়তার পাশাপাশি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা দেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে ৯৯৯-এর কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলছিল। তবে সোমবার থেকে এর কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় চালু চলছে।
এদিকে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে ৬৩৯ থানার মধ্যে ৬৩৪টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ মেট্রোপলিটন এলাকার ১১০ থানার মধ্যে সবকটি এবং জেলার ৫২৯ থানার মধ্যে ৫২৪টির কার্যক্রম শুরু হয়। সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, আসবাবপত্রসহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় পাঁচটি থানার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। দু-তিন দিনের মধ্যে এ পাঁচ থানারও কার্যক্রম শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারা দেশে ট্রাফিক পুলিশ পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।