উপসচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়েছেন ১১৭ কর্মকর্তা। তারা পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষভাবে সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব) নিয়োগ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বল হয়, পদোন্নতির আদেশে উল্লিখিত কর্মস্থল থেকে কোনো কর্মকর্তার দপ্তর বা কর্মস্থল ইতোমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম বা ঠিকানা উল্লেখ করে যোগদান পত্র দাখিল করবেন। উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা ভূতাপেক্ষিকভাবে বিধি মোতাবেক আর্থিক সুবিধা পাবেন।
পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনোরকম বিরূপ বা ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন বা বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে বলেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা সরাসরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর অথবা ই-মেইলে যোগদান পত্র দাখিল করতে পারবেন।
পদোন্নতি পেলেন আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম : এই পদোন্নতির তালিকায় নাম রয়েছে একসময়ের আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের। পদোন্নতির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে সারওয়ার আলম নিজেই নিশ্চিত করেছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ। সব প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী।
১৪ বছরের বেশি সময় ধরে প্রশাসনে কর্মরত থাকলেও পদোন্নতি হয়নি সারোয়ারের। এর আগে ২০২২ সালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে তিরস্কার সূচক লঘুদণ্ডের শাস্তি পেয়েছিলেন সে সময়ের র্যাবের আলোচিত এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। তবে সারোয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।