কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই ঢাকার ধানমন্ডির সেন্ট্রাল রোডে সংঘর্ষে নিহত হন তাহির জামান প্রিয়। মৃত্যুর পর তার লাশ সড়কেই পড়ে ছিল। কেউ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। পরে তার লাশের সন্ধান মেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে। দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাবেক ভিডিও জার্নালিস্ট তাহির জামান প্রিয়র গ্রামের বাড়ি রংপুরে। সেদিন জুমার নামাজের পরই মায়ের সঙ্গে কথা হয় প্রিয়র। সে সময় সব শুনে চিন্তিত মা বললেন, ‘সাবধানে থেকো, বাবা।’ জবাবে প্রিয় বলেন, ‘তুমিও সাবধানে থাকিও মা।’ কোটা আন্দোলন ছাড়াও সাম্প্রতিক বিভিন্ন আন্দোলন ফ্রিল্যান্স ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রিয়। চলতি বছর ‘গুটিপা’ নামের চামড়াজাত পণ্য তৈরির একটি ক্ষুদ্র ও মাঝারিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা ছিল সৃজনশীল এই তরুণের। তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান, গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর মুঠোফোনে প্রিয়কে কল দিলাম। দু-একটি কথা শেষে বললাম, ‘সাবধানে থেকো, বাবা।’ জবাবে উল্টো আমাকেই সে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিল, ‘তুমিও সাবধানে থাকিও মা।’ এটাই শেষবারের মতো তার কাছ থেকে মা ডাক শোনা। জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার কাছে টাকা-পয়সা কিছু আছে? বলল, না, মা। ফোন রেখে ওকে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করলাম। ওর মামাকে বললাম, ‘কিছু টাকা বিকাশ করে দাও’। এর কিছুক্ষণ পরেই প্রিয়র মৃত্যুসংবাদ শুনতে পাই।