খুলনার এ্যাজাক্স জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন ৬-৭ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। লুট হয়ে যায় মিলের মূল্যবান মেশিনারিজ, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম, ওয়ার্কশপের যন্ত্রপাতি, স্টোর রুমের মালামাল। সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ও তার ভাই সাহাবুদ্দিন পাটপণ্য রপ্তানিতে বাধা, দখলদারি ও মালামাল লুটপাটে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন এ্যাজাক্স জুট মিলের চেয়ারম্যান কাওছার জামান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তার মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিংকন মিল দখল করে নেয়। মন্নুজান সুফিয়ান ও তার ভাই সাহাবুদ্দিন প্রস্তুতকৃত পাটপণ্য বিদেশে রপ্তানিতে বাধা দিলে মিলটি তাৎক্ষণিক প্রায় অর্ধ কোটি টাকার লোকসানে পড়ে। দৌলতপুর মিরেরডাঙ্গায় ৮১ একর জমির ওপর এ্যাজাক্স জুট মিল অবস্থিত।
খুলনা প্রেস ক্লাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কাওছার জামান বলেন, গত ১৪ আগস্ট যুবলীগ নেতা লিংকন ও মুন্নুজানের ভাই সাহাবুদ্দিনসহ দখলদাররা মিলের বালুর মাঠ পুকুর থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার সাদা মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া লিংকন মিলের ৫০ একর খালি জায়গায় বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুদ করে সারের ব্যবসা করছে।
জুট মিলের চেয়ারম্যান কাওছার জামান মিলটি উদ্ধারে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা সচিব ও খুলনা জেলা প্রশাসক, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করলেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কাওছার জামান বলেন, এই মিলে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হতে চলেছেন। বর্তমানে মিলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সোনালী ব্যাংক, মতিঝিল শাখায় বন্ধক রয়েছে। তিনি শতভাগ রপ্তানিমুখী এ্যাজাক্স জুট মিলটি রক্ষার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সরেজমিন তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।