ক্ষমতাধর শ্রেণির রাহুমুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিতে গণমাধ্যমের মালিকানা, পরিচালনা নীতিসহ নানা বিষয়ে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, করপোরেট মালিকদের স্বার্থরক্ষা ও রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিমূলক সাংবাদিকতা পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এ সংকট কাটাতে গণমাধ্যমের সামষ্টিক চরিত্র পাল্টে জনবান্ধবমুখী করার দাবি জানান তারা।
গতকাল বিকালে ‘গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ’ এর ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত মতবিনিয়ময় সভায় এসব কথা বলেন সাংবাদিকরা। এ সময় মুক্ত, স্বাধীন ও শক্তিশালী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় একটি নির্দলীয় প্ল্যাটফরম তৈরির বিষয়ে একমত হন বক্তারা।
সভায় গণমাধ্যমের সংস্কারে ১৩ দফা দাবি পেশ করেন সাংবাদিকরা। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করা, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে আহত-নিহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ ও সব বন্ধ গণমাধ্যম অনতিবিলম্বে খুলে দিতে হবে। এ ছাড়া যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছেন, তদন্তসাপেক্ষ তাদের বিচারের আওতায় আনা ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড প্রণয়ন করতে হবে। অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে বলে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন করেনি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা বক্তব্য দেন। সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক আরিফুল সাজ্জাত ও আহম্মদ ফয়েজ।