লোহা ও ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল এবং মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি বন্দর সক্ষমতা বাড়াতেও অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। গতকাল এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়রন, কার্বন স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল এবং রি-রোলিং ইন্ডাস্ট্রিবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং শাহরিয়ার স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে মাসুদুল আলম মাসুদ। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. আমির হোসেন নূরানী। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতারা। এ সময় লোহা ও ইস্পাত শিল্পসহ সব ধরনের শিল্পকারখানার জন্য গুণগত এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন তারা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে লোহা ও ইস্পাত শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, শুধু ইস্পাত শিল্প নয়, সব খাতেই আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা শুনে আসছি বন্দরে আমদানি পণ্যের ইনভয়েস ভ্যালুর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ধরে শুল্কায়ন করা হয়। এসব জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করার ক্ষেত্রে বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান আন্তরিক থাকবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। সভায় এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশে বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার ৪০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে বার্ষিক মাথাপিছু ইস্পাতের ব্যবহার প্রায় ৯০ কেজি। বাংলাদেশে আকরিক লোহার খনি না থাকার কারণে চাহিদার প্রায় শতভাগ ইস্পাত আমদানি করতে হয়।
স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইস্পাত আমদানি হয়।