বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে আরও ৪০ জন গরিব ও দুস্থ রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি, মাংস বৃদ্ধি ও নেত্রনালির অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত হাসপাতালটিতে গতকাল ১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারীর চোখের অপারেশন করা হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন ডা. মৌটুসি ইসলাম, ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট এবং ডা. তাসরুবা শাহনাজ। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার স্থানীয় চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই ফ্রি আই ক্যাম্প অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সারা দেশে বিনামূল্যে আই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব আই ক্যাম্পে হাজার হাজার রোগীর চোখের চিকিৎসা করা হয়। সেখান থেকে চোখের অপারেশন প্রয়োজন এমন দুস্থ রোগীদের বাছাই করে অপারেশনের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এখানে আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হাসপাতাল থেকেই করা হয়। এ পর্যন্ত ক্যাম্পের মাধ্যমে ৩ হাজার ১০৮ জন রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ক্যাম্পটি চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পটিতে ১ হাজার ২০০ রোগী দেখা হয়। এর মধ্যে ৪২০ জন রোগী বাছাই করা হয় অপারেশনের জন্য। গতকাল সেখানকার চতুর্থ ব্যাচের ৪০ জন রোগীর অপারেশন করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ বেজড স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা বসুন্ধরার সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এক হয়ে কাজ করছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা টাকার অভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য কিছু করার লক্ষ্যে আমাদের এই কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার রোগীর চোখের সাধারণ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আই ক্যাম্পের মাধ্যমে। প্রতি বছর আমরা দুটি করে ক্যাম্প করে থাকি। গরিব অসহায় মানুষের জন্য বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।