চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন সড়কে বিআরটিসির ৬৮টি বাস চলাচল করে। জুলাই মাসে আন্দোলনের সময় বেশ কিছু বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে বন্ধ ছিল বাস চলাচল। বর্তমানে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো মেরামতের কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে সব রুটে আগের মতো বাস চলাচলের উপযোগী করে তোলার কাজ চলছে।
জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নতুনপাড়ার বিআরটিসি বাস ডিপোতে থাকা বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। আগুনে ডিপোর দুটি বাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই সঙ্গে আরও দুটি বাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সোহেল রানা নামে এক যুবক ডিপোতে আগুন দিয়েছে। সোহেলকে আটকের পর সে জানায়, বায়েজিদ থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি দিদারুল আলমের নির্দেশে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এরপর ২২ জুলাই নতুনপাড়ার বালুছড়া এলাকা থেকে দিদারুল আলমকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। দিদার এক সময় বিআরটিসির ঠিকাদার ছিলেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৩টি রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল করে। রুটগুলোর মধ্যে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা, বহদ্দারহাট থেকে বোয়ালখালী উপজেলা, চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু থেকে পটিয়া হয়ে চন্দনাইশ উপজেলা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফ বাস, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম স্টাফ বাস, চট্টগ্রাম-ঢাকা, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম-তবলছড়ি, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম-কোম্পানীগঞ্জ।
বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী বলেন, আমাদের ৯টি গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো পুলিশ হেফাজতে ছিল। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে ৬৮টি বিআরটিসি বাস চলাচল করত। এখন ৪১টির মতো চলে। যেগুলো চলছে তাতে যাত্রী একেবারেই কম। আমাদের এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি স্টাফ বাস চলে, এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এই বাসগুলো বন্ধ রয়েছে। নগরীর স্কুলগুলোতে এখন ছাত্রছাত্রী কম এজন্য সব বাস লাগছে না।