ডাকবিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবাদানকারী ‘নগদ’-এর দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল রাজধানীর বনানীতে নগদ কার্যালয়ে প্রশাসকের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। এ ছাড়া প্রশাসকের সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্মপরিচালক আনোয়ার উল্যাহ, যুগ্মপরিচালক পলাশ মণ্ডল, যুগ্মপরিচালক (আইসিটি) আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক (আইসিটি) চয়ন বিশ্বাস ও উপপরিচালক মো. আইয়ুব খান।
দায়িত্ব নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বদিউজ্জামান দিদার বলেন, ‘নগদ সাড়ে ৯ কোটি গ্রাহকের বিশাল একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি গুজবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা সব ধরনের গুজব শেষ করে গ্রাহকের আস্থা আরও বাড়াতে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ বন্ধ করতে আসেনি। আমরা নগদকে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়তা করতে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘নগদের কোনো সেবা, কার্যক্রম বা অগ্রগতি এক মুহূর্তের জন্য থামবে না। নগদ ছিল এবং থাকবে। নগদের কার্যক্রম যেভাবে চলছিল, সেভাবেই চলবে। নগদ যেভাবে ভাতা বিতরণ করছিল, যেভাবে লেনদেন করছিল, যেভাবে পেমেন্ট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল; সেগুলো আরও বড় করার জন্যই আমরা কাজ করব।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক জানান, ‘নগদের নিয়মিত কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা নেই। এমনকি মানবসম্পদ বা অন্যান্য সম্পদ যেভাবে ছিল, তাতেও হাত দিয়ে কোনো অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করা হবে না।’
বাংলাদেশ ডাকবিভাগের পরিচালক আবু তালেব বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে ডাকবিভাগের ডিজিটাল লেনদেন হিসেবে নগদের যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তাতে কোনো অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়নি। এটি ডাকবিভাগের অন্যান্য সেবার মতোই একটি বিশেষায়িত ডিজিটাল আর্থিক সেবা।’
সংবাদ সম্মেলনে নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রশাসক নিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। নগদের বিপক্ষে যে অপপ্রচার চলছিল, সেটা ঠেকাতে সরকারের এটি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরাসরি ভূমিকা রাখবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসকের সহায়ক কর্মকর্তা, ডাকবিভাগের প্রতিনিধি ও অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।