তিন ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে খুলনা নগরীর অধিকাংশ সড়ক ও বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ। গতকাল ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এরপর দুপুর ১২টা থেকে থেমে থেমে আরও ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে। এদিকে ভারী বৃষ্টিতে নগরীর খালিশপুর মুজগুন্নি, বাস্তুহারা কলোনি, হাউজিং এলাকা, ফুলবাড়ি গেট, রেলিগেট, মহেশ্বরপাশা, দৌলতপুর, রায়েরমহল, বয়রা বাজার, গল্লামারি, গোবরচাকা নবীনগর, রয়েল মোড়, বাইতিপাড়া, মৌলভীপাড়া, টিভিবাউন্ডারী রোড, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মহির বাড়ি খালপাড়, রূপসা ঘাট, নতুন বাজারসহ নগরীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সড়ক ও নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানি জমে থাকায় বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী মানুষ। এ সময় সড়কে যানবাহন তুলনামূলক কম থাকায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় অনেক গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে দুর্ভোগে পড়েন চালকরা।
জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খুলনা সিটি করপোরেশন গত ছয় বছরে প্রায় ৫০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার, উন্নয়ন ও ময়ূর নদসহ সাতটি খাল খনন করলেও ভোগান্তি কমেনি। ধীরগতির অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ ও নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে নোংরা পানিতে সয়লাব হয় চারপাশ।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, কিছু জায়গায় উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় সেখানে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়। তবে ড্রেনের মধ্যে থাকা বালির বস্তাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের সময় লাগছে। তবে দুপুরের মধ্যে অনেক স্থানের পানি নেমে গেছে। রাতে শহরের অধিকাংশ এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে যাবে।