হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি পেতে আট সদস্যের আইনজীবী সেল ও তিন পুলিশি জোনে ফোকাল পার্ট জরুরি সেল খুলেছে রংপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানিমূলক মামলার শিকার না হয় এই লক্ষ্যে তারা গতকাল দুপুরে আদালত চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক ইমরান আহমেদসহ অন্যান্য সমন্বয়ক ও প্রতিনিধি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরিচিত/অপরিচিত কেউ যদি প্রকাশ্যে বা ফোন কলে জানায় যে, অমুকের হত্যা/আহতের মামলায় বা সহিংসতার মামলায় আপনার নাম এসেছে, আপনাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অতঃপর টাকার বিনিময়ে আপনার নাম সে মামলার অভিযুক্ত তালিকা থেকে কেটে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে কোনো ধরনের লেনদেনে যাবেন না। এমতাবস্থায় নিকটতম থানায় গিয়ে পরিচিত হলে সেই ব্যক্তি এবং পরিচিত না হলে কল আসা সেই নম্বর উল্লেখ করে একটি চাঁদাবাজির মামলা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- নতুন করে যাতে আর কোনো মামলায় নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় তালিকাভুক্ত করতে না পারে এ জন্য আট সদস্যের একটি ‘আইনজীবী প্যানেল’ গঠন করেছি, যাদের মাধ্যমে আন্দোলনকেন্দ্রিক নতুন মামলাগুলো করতে পারবেন স্বল্প খরচে ও সহজে। যারা ইতোমধ্যে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং যারা সামনের দিনে হতে পারেন তাদের জন্য তাৎক্ষণিক আইনগত নিরাপত্তাসেবা নিশ্চিত করতে রংপুরের তিনটি পুলিশি জোনের সমন্বয়ে একটি ফোকাল পার্ট জরুরি সেবা সেল গঠিত হয়েছে। যে কোনো আইনি হয়রানির সুরাহা পেতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে ।