বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন খুলনা নৌযান শ্রমিকরা। এতে মোংলা বন্দর, খুলনা ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট, যশোরের নওয়াপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে নৌপথে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে সময়মতো পণ্য সরবরাহ নিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে নৌযান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ৬০-৭০ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু মালিকপক্ষ নানা অজুহাতে তা বাস্তবায়ন না করে কালক্ষেপণ করে। শ্রমিকরা আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফলে দাবি আদায়ে ২৬ আগস্ট নৌযানে কর্মবিরতি শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
জানা যায়, ২৫ আগস্ট শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে আরও সময় চাইলেও শ্রমিকরা তা মানেননি। খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সদস্য হাফিজুল ইসলাম চন্দন জানান, ২০২২ সালে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে প্রতিটি নৌযানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ৬০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এমনিতে ডলার সংকট ও বৈশ্বিক মন্দায় আমদানি কমে যাওয়ায় খুলনার সাড়ে তিন শ নৌযান মালিক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে এরই মধ্যে জাহাজ বিক্রি করে দিয়েছেন। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নৌযান মালিকরা বলেন, শ্রমিক ধর্মঘটে মোংলা বন্দরসহ এ অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্য অচল হয়ে পড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলতে অবৈধ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। যদিও মালিকপক্ষের দাবিকে অস্বীকার করছেন শ্রমিকরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নৌযান মালিক গ্রুপের সদস্য মো. জহির হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান পল্টু, খুরশিদ আলম ও আবদুল গফ্ফার।