পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম। এ সময় পরিষদের সমন্বয়ক ফরিদ হোসেনসহ অন্যান্য সমন্বয়ক ও চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার একটি দেশকে সন্তুষ্ট করতে, সেনাবাহিনীর সামর্থ্য ক্ষুণ্ণ ও বাংলাদেশ রাইফেলসকে (বিডিআর) ধ্বংস করে নিজেদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে সুপরিকল্পিতভাবে ‘পিলখানা হত্যাকান্ড’ ঘটিয়েছে।
এরপর প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করেছে। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনাকে তথাকথিত ‘বিডিআর বিদ্রোহের’ নামে সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের ৯ দফার মধ্যে রয়েছে, যেসব বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে- তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান। হত্যাকান্ডে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। পিলখানা হত্যাকান্ডকে কথিত বিদ্রোহ না বলে ‘পরিকল্পিত হত্যাকান্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করা। ওই ঘটনায় গঠিত প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করা। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারীদের আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন বা মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান ও চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল। পিলখানা হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য ও কুশীলবদের চিহ্নিত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন। পিলখানায় শাহাদাতবরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা প্রদান। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যকান্ডের স্মরণে ওই দিনকে ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা।