চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। যার কারণে গত ১ লা সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারেনি ইউনিট। নেতৃত্বশূন্য দক্ষিণ জেলা বিএনপির হাল ধরতে ত্যাগীদের পাশাপাশি বাড়ছে সুবিধাবাদী নেতাদের আনাগোনা। বিএনপির ক্রাান্তি সময় পেরিয়ে অপেক্ষা করছে সুসময়। দুঃসময়ে দলীয় কর্মকান্ডে যারা নীরব ছিল, কমিটিতে আসতে তারাও সরব হয়ে উঠেছেন। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দেড় দশক ধরে যারা দলীয় কর্মকান্ডে ছিল না, তাদের এই সময়ে দলের নেতৃত্বে এনে দল ধ্বংস করার প্রশ্নই আসে না। প্রয়োজনে কর্মী থেকে নেতা বানানো হবে।
জানা যায়, গত রবিবার বিলুপ্ত করা হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক কমিটি। যেকোনো মুহূর্তে ঘোষণা হতে পারে নতুন কমিটি। স্বাভাবিকভাবে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে দলের তৃণমূলে চলছে নানা আলোচনা। নতুন কমিটিতে আসতে ধরনা দিচ্ছেন সিনিয়র নেতাদের কাছে। সম্ভাব্য কমিটিতে পদ পেতে মরিয়া কয়েক ডজন নেতা। যাদের জেলার নেতৃত্ব আসার যোগ্যতা আছে তাদের পাশাপাশি তালিকায় আছে অযোগ্যরাও। বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) হারুন অর রশিদ বলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি অত্যন্ত সংগঠিত একটি ইউনিট। এখানে এত বেশি যোগ্য নেতা আছেন, আমরা যদি দুই-তিনটা কমিটিও করি তাহলেও নেতৃত্বের সংকট হবে না। আমরা আগন্তুক কাউকে দলের নেতা বানাতে প্রস্তুত নই। পুরনো দিনে যারা কাজ করছে, বিভিন্ন সময় হয়তো তাদের ভাল জায়গায় পদায়ন করতে পারিনি, এবার তাদের আমরা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবো। যাদের গত ১৬ বছর ধরে দলের ক্রান্তিলগ্নে দলের পিছনে শ্রম আছে। মূলত সবকিছু বিশ্লেষণ করে বিশেষ করে বিগত ১৫-১৬ বছর দলে তার রেকর্ড বিশ্লেষণ করে পদায়ন করার ব্যবস্থা করবো। তিনি আরও বলেন, যারা দলের এমপি বা কেন্দ্রীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গত ১৫ বছরে যোগাযোগ ছিল না তারা নতুন কমিটিতে আসার সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ তাদের এখন পদায়ন করে দলকে ধ্বংস করার যৌক্তিকতা নেই। প্রয়োজনবোধে আমরা কর্মীদের নেতা বানাবো।