গ্রীষ্মকালীন ছুটি, ঈদুল আজহা ও আন্দোলনের ফলে ১০০ দিনেও ক্লাসে পাঠদানে ফিরতে পারেনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত সব শিক্ষার্থী। গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মো. ফজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৪ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ২৮ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। ছুটি কাটিয়ে ২১ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সিলেটে দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইনে পাঠদান শুরু করেন শিক্ষকরা। এদিকে তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শাবিপ্রবি শিক্ষকরা। ফলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ৩ জুলাই থেকে নানা কর্মসূচি নিয়ে সড়কে নামেন শিক্ষার্থীরা। গ্রীষ্মকালীন ছুটি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চতুর্মুখী আন্দোলন ও প্রশাসনশূন্য হওয়ার ফলে ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে পারেনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। কবে ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির নতুন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আমরা সব ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে মিটিং ডেকেছি। তাদের মতামতের ভিত্তিতে ক্লাস কার্যক্রম এবং হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আশা করছি দ্রুতই ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’