গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত এস এম ইমদাদুল হক আকলু মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। বিএনপি নেতাদের দাবি, ইমদাদুল হককে আওয়ামী লীগের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক নয়ন বাগমার জানান, এস এম ইমদাদুল হক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লোকজনসহ চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে নাসু মার্কেট এলাকায় যান। তিনি সেখানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে অতর্কিত তার ওপর হামলা করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় নিহতের সঙ্গে থাকা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ছয়/সাতজন নেতা আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্থানীয় মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শরীফুল ইসলাম তোরণের বাড়ি এবং তার ইটের ভাটার অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সবুরের বাড়িতেও হামলা এবং ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন সেখানে যান এবং নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
এ বিষয়ে মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা রুজু হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।