এক মাস ছয় দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তৃতীয় ইউনিটটি চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করছেন কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে এ উৎপাদন শুরু হয়।
এর আগে গত ৩১ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এ ইউনিটে প্রতিদিন ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার ২০০ টন কয়লা প্রয়োজন হয়।
এদিকে শুক্রবার রাত ৯টার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাভিত্তিক ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয়েছে, যা চালু হতে ১০ দিন সময় লাগবে। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬০-৬৫ মেগাওয়াট।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত আছে ২ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনোই চালানো হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে তৃতীয় ইউনিট চালু করা হয়েছে, তা থেকে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। রাত ৯টার পর কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। এটি চালু করতে অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। তৃতীয় ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।