শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সমন্বয়ক পরিচয়ে বাস ভাঙচুর ও ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শাহাবুল ইমন ও সাদমান সাকিব। অভিযোগ করেছেন মিরপুর সুপার লিংক পরিবহনের মালিকরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরপুর-নিউমার্কেট রুটের মিরপুর সুপার লিংক পরিবহনের ৫টি বাস আটক করে ভাঙচুর করেন শেকৃবির শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
বাস মালিকদের অভিযোগ, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের ইন্ডিকেটর লাইট ভেঙে গেলেও ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নিজেদের শেকৃবির সমন্বয়ক বলেও পরিচয় দেন। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পাঁচটি বাসে ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের হস্তক্ষেপে আটকে রাখা বাসগুলো ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। তবে সমন্বয়ক পরিচয়ে গাড়ি ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমন ও সাকিব বলেন, দুর্ঘটনার সময় উত্তেজিত ছাত্র-জনতা গাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা কখনোই সমন্বয়ক শব্দ উচ্চারণ করিনি। আমরা শেকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয় দিয়েছি এবং মোটরসাইকেল ঠিক করতে যে খরচ হয় তা বহন করতে বলেছি। শেকৃবির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শেকৃবির কোনো সমন্বয়কের সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে আমাকে ফোন করলে আমরা অবগত হই। পরবর্তীতে আমিসহ অন্যান্য সমন্বয়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।