কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ড. জিয়াওকুন শির নেতৃত্বে সাক্ষাৎ করেছে। গতকাল সচিবালয়ে এই সাক্ষাৎকালে দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতি, কৃষির উন্নয়নে কারিগরি ও পরামর্শ সহায়তা, কৃষিজ পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আলোচনার শুরুতে কৃষি উপদেষ্টা এফএও-এর প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এফএও অনেক বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। আমরা আশা করি এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
উপদেষ্টা সম্প্রতি বন্যায় আক্রান্ত দেশের ২৩টি জেলার মধ্যে ১১টি জেলায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বন্যা-পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনে এফএও-এর সহযোগিতা প্রয়োজন।
এফএও-এর প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে এফএও সবসময় সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এফএও সবসময় বীজ, কৃষিপ্রযুক্তি, কারিগরি ও পরামর্শ সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এফএও-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতে কৃষি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত ‘পার্টনার’ প্রকল্পে এফএও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। পার্টনার প্রকল্পের ১৮টি কর্মসূচিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করা হবে বলে এফএও প্রতিনিধি দল সভায় জানান। কৃষি খাতের বিভিন্ন তথ্য (ডাটা) নিয়মিতভাবে এফএও-এর সঙ্গে বিনিময় করার জন্য প্রতিনিধি আগ্রহ জানালে, উপদেষ্টা এ বিষয়ে সবসময় সহযোগিতা করা হবে বলে জানান। এফএও-এর প্রতিনিধি তার সংস্থার এক দেশ এক পণ্য কর্মসূচির মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর একটি কৃষিপণ্য/ফসল/ফল রপ্তানিতে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের মৌসুমি ফল আম রপ্তানিতে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে উৎপাদিত অন্যান্য মৌসুমি ফলসহ বিভিন্ন শস্য, রপ্তানি সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণে কাজ করার জন্য এফএও প্রতিনিধিদল আগ্রহ জানালে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, আমের পাশাপাশি আমাদের প্রচুর কাঁঠালও উৎপাদন হয়, রপ্তানির অগ্রাধিকারে কাঁঠালকেও রাখা যায়। কৃষিপণ্য রপ্তানির বিষয়ে মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে উপদেষ্টা জানান। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।