‘শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো’ ক্যাটাগরিতে কাগজ উৎপাদনে সাসটেইনেবল ইনোভেশনের (টেকসই উদ্ভাবন) জন্য পুরস্কৃত হয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস। বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড ইনিশিয়েটিভ এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত দ্বিতীয় এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে ও টেকসই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পেপার শিল্পে এ উদ্ভাবনী প্রকল্পকে তুলে ধরে বসুন্ধরা পেপার সেক্টর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বসবাসযোগ্য পরিবেশের গুরুত্ব ও পরিবেশ উন্নয়নে তাদের নানা অভিনব উদ্যোগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বসুন্ধরা পেপারের পক্ষে এ সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন তৌফিক হাসান (হেড অব ডিভিশন, মার্কেটিং, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি), মো. মাজেদুল ইসলাম (কোম্পানি সেক্রেটারি, সেক্টর-সি, বসুন্ধরা গ্রুপ) ও গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বসুন্ধরা পেপার মিলসের কারখানায় কাগজ উৎপাদনের অন্যতম কাঁচামাল প্রেসিপিটেটেড ক্যালসিয়াম কার্বনেট (পিসিসি) তৈরির একটি অত্যাধুনিক প্ল্যান্ট স্থাপিত আছে- যার মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় তা বিরাট অবদান রাখছে। এ প্ল্যান্টে জেনারেটর নিষ্কাশন থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলে না ছেড়ে তা ক্যাপচার করে উচ্চমানের ক্যালসিয়াম কার্বনেটে রূপান্তর করা হয়। এ উন্নত প্রযুক্তিকে একীভূত করার মাধ্যম কাগজের গুণমান ও কার্যকারিতা উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে তার উৎপাদনে পরিবেশগত দূষণের পরিমাণ বহুলাংশে হ্রাস করা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তারা পরিবেশগত দায়িত্বের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, তাদের প্ল্যান্টে স্থাপিত এ অভিনব উদ্ভাবনী ব্যবস্থা কেবল দূষণই কমায় না বরং স্থায়িত্ব এবং দায়িত্বশীল শিল্প অনুশীলনের জন্য কোম্পানির চলমান প্রচেষ্টাকে প্রতিষ্ঠিত করে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাগজ তৈরির স্থাপনা হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত তিন দশকে পরিবেশ সুরক্ষা এবং শিল্পের অগ্রগতি উভয় ক্ষেত্রেই অবদান রাখে এমন উদ্ভাবনী সমাধানগুলো বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে বসুন্ধরা পেপার মিলস সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।