২০১৩ সালে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে জয়বাংলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। কিন্তু নির্মাণকাজের কিছুদিনের মধ্যেই সড়কের পিচ ও খোয়া উঠে বড় গর্ত তৈরি হয়। এরপর টানা ১১ বছর ধরে সড়কটিতে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের ইটের সলিং উঠে কাদাপানিতে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। খানাখন্দে হাঁটুপানি জমেছে। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে এঁকেবেঁকে চলছে বাস-ট্রাক-ইজিবাইক। চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কাদাপানিতে পথ চলতে নাভিশ্বাস পথচারীদের। জানা যায়, কেডিএ সড়কটি নির্মাণের পর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাসস্ট্যান্ড-ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত কেসিসি ও বাকি অংশ এলজিইডিকে হস্তান্তর করে। কিন্তু ‘নিম্নমানের কাজ হয়েছে’ দাবি করে রক্ষণাবেক্ষণে আপত্তি জানান তৎকালীন সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। সেই থেকে কেসিসি-কেডিএ সমন্বয়হীনতায় সংস্কারের অভাবে সড়কটি ওই অবস্থায় পড়ে আছে। খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি জমে যায়। যানবাহন দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, সব উন্নয়নকাজে দায়বদ্ধতা থাকা প্রয়োজন। দুই প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েনে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে ভোগান্তি এড়াতে বিকল্প সড়কপথে জরাজীর্ণ গল্লামারী ব্রিজে যানবাহনের চাপ বেড়েছে বহুগুণ। এর মধ্যে ব্রিজের বিভিন্ন অংশের প্লাস্টার খসে পড়েছে। যানবাহনের চাপে যে কোনো মুহূর্তে ব্রিজটি ভেঙে পড়তে পারে।
কেডিএ কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী সড়ক নির্মাণের পর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন ও এলজিইডির। এখানে তাঁদের সংস্কারের সুযোগ নেই। কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মসিউজ্জামান খান বলেন, সড়ক ময়ূর ব্রিজ থেকে জয়বাংলা মোড় পর্যন্ত বিদেশি প্রজেক্টের আওতায় সংস্কার করা হবে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের যে জায়গাগুলোয় বেশি গর্ত হয়েছে সেখানে দুই স্তরের ইটের হেরিংবোন করে দেওয়া হবে। ২৪ সেপ্টেম্বর ওই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে।