রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালে এসব প্রকল্পের মেয়াদের সঙ্গে কয়েক শ কোটি টাকার ব্যয় বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করেছিলেন। তাকে অপসারণ ও প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই মন্ত্রণালয়ের কাছে এসব প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীতে নবনির্মিত ৬টি ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়েছে। খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩ হাজার কোটি টাকার সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসবের নির্মাণকাজ শুরু হয়। একই প্রকল্পের আওতায় ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ কেবল শুরু হয়েছে। তবে মূল প্রকল্পের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন জানান, প্রকল্পটির যেহেতু সময় বাড়বে, যে কলেবরে সংশোধিত ডিপিপি করা হয়েছিল, সেখানে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা ব্যয় আগের মতো রেখে শুধু সময় বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এতে প্রকল্পটি শেষ হলেও কোনো ব্যয় বাড়বে না। প্রকল্প পরিচালকও সম্প্রতি অবসরে গেছেন। নতুন করে ওই পদে কেউ নিযুক্ত হননি এখনো। তারপরও প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে চায় সিটি করপোরেশন।
এ বি এম শরীফ উদ্দিন জানান, নতুনভাবে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের জন্য প্রশাসক চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। যত দিন পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক বা প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কাউকে না পাওয়া যাবে, তত দিন সিটি করপোরেশনে কর্মরতদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুশাসন অনুযায়ী, জনস্বার্থে নেওয়া অর্ধসমাপ্ত সব কাজই পুরোপুরি শেষ করতে চায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন। তবে অপ্রয়োজনীয় বিবেচিত হলে সেসব কাজ আর সম্পন্ন করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই বলে জানিয়েছেন প্রশাসক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘যে কাজ শেষের দিকে বা জনস্বাস্থ্যে শুরু হয়েছে, সেগুলো আমরা শেষ করতে চাই। প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু শুরু হয়নি, যা জনগুরুত্বপূর্ণ নয়, সেগুলো আমরা এগিয়ে নিতে চাই না।