চট্টগ্রাম বিএনপির পালে লেগেছে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের হাওয়া। দেড় দশক পর ‘মুক্ত বাতাস’ পেয়েই বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে উজ্জীবিত বিএনপি। ফলশ্রুতিতে গত মঙ্গলবার কেন্দ্র ঘোষিত শোভাযাত্রায় হয়েছে গণজোয়ার। শুধু শোভাযাত্রায় নয়, সরকার পতনের পর ‘লাইফ লাইন’ পেয়ে উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিলেও তারা নানান ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ নির্দেশনা পেয়েই বিএনপি নেতা-কর্মীরা মাঠে সজাগ রয়েছে।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম বিএনপির পালে লাগে নতুন হওয়া। সরকার পতনের পর পরই কারাগার থেকে মুক্ত হন চট্টগ্রামের সিনিয়র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকা নেতা-কর্মীরা ফিরে আসেন এলাকায়। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকা নেতা-কর্মীরা ফিরে আসেন দেশে। এরই মধ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া মামলাগুলোও প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে উজ্জীবিত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাঠের রাজনীতিতে ফিরে আসেন নব উদ্যমে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্রের শোভাযাত্রায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এলাকায় এলাকায় ব্যাপক জনসংযোগ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে আসনভিত্তিক প্রভাবশালী নেতারা। এর মধ্যে রয়েছেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, আসলাম চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, এম এ হালিম, গাজী শাহজাহান জুয়েল প্রমুখ।