খুলনা মহানগরীর গল্লামারীতে লাইফ লাইন খ্যাত ময়ূর নদটি মৃতপ্রায়। খনন ও সংরক্ষণে সিটি করপোরেশন বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও গতি ফেরেনি। স্থানীয় ভৌগোলিক অবস্থাকে বিবেচনা না করে বিদেশি প্রেসক্রিপশনে অবাস্তব প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে। গতকাল আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে ময়ূর নদ খনন ও সংরক্ষণের দাবিতে ‘মার্চ টু ময়ূর রিভার’ কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনা শাখার উদ্যোগে নগরীর লায়নস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে পদযাত্রা ময়ূর নদের পাড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমবেশে বক্তারা বলেন, ময়ূর নদকে রক্ষা করতে হলে নদসংযুক্ত হাতিয়া ও ক্ষেত্রখালীসহ প্রায় ২২ কিলোমিটার নদী খনন, সংযুক্ত খালসমূহ পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেই সঙ্গে নদের উৎসস্থল বিল ডাকাতিয়াকে অবমুক্ত জলাবদ্ধতা নিরসন ও রূপসা নদীর সঙ্গে নদের মিলিতস্থলে নির্মিত স্লুইস গেট নিয়মিত পরিচালনা বা সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক গেটগুলো স্থায়ী অবমুক্ত করতে হবে। নদটি সংরক্ষণ করতে না পারলে পরিবেশ প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্ট হবে। সংগঠনের খুলনা শাখার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাবুল হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা অনুষদের অধ্যাপক তুষার কান্তি রায়, নাগরিক নেতা শেখ মফিদুল ইসলাম, জনার্দন দত্ত নান্টু, মুনীর চৌধুরী সোহেল, সুতপা বেদজ্ঞ ও মাহফুজুর রহমান মুকুল।