জাতিসংঘে ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিউইয়র্কে আসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ উপলক্ষে কমিউনিটিতে নানা কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মী-সমর্থকরা জেএফকে এয়ারপোর্টে স্বাগত-সমাবেশ করবেন। প্রায় একই স্থানে বিক্ষোভ দেখাবেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছে উভয় পক্ষ। শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে এয়ারপোর্ট কর্র্তৃপক্ষ। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণের সময় বাইরে পাশাপাশি দূরত্বে বিএনপির শান্তি সমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই নিজ নিজ কর্মসূচির সমর্থনে ব্যাপক প্রস্তুতি চালাচ্ছে। ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদের সঞ্চালনায় এ সভায় বক্তব্যকালে নেতারা উল্লেখ করেন, বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ, গরিবের বন্ধু নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘে আসছেন বাংলাদেশের নেতা হিসেবে। তাই তাঁকে ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে জেএফকে এয়ারপোর্টে বিপুল সংবর্ধনা দিতে হবে।
অন্যদিকে জেএফকে এয়ারপোর্টে ড. ইউনূসের আগমনের সময় ব্যাপক বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিতে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, ভার্জিনিয়া, বস্টনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১২টি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সপ্তাহে। নিউইয়র্কের প্রস্তুতি সভাসমূহে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান ও সামাদ আজাদ। এ ছাড়াও ‘একাত্তর প্রহরী’ এবং ‘শেখ হাসিনা সংগ্রাম পরিষদ’ নামক দুটি নতুন সংগঠনের পক্ষ থেকেও র্যালি ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের সামনে ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে ও জেএফকে এয়ারপোর্টে ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বড় ধরনের বিক্ষোভ করা হবে।